চুল পাকা দূর করার উপায় | চুল কেন পাকে | পাকা চুল কালো করার টিপস

 চুল পাকা দূর করার উপায় | চুল কেন পাকে | পাকা চুল কালো করার টিপস

আসসালামু  আলাইকুম,,  বন্দুরা। সবাই  কেমন আছেন। আমাদের আজকের বিষয় হচ্ছে চুল পাকা কিভাবে দূর করা যায়। কেননা এখন কার এই ভেজাল এর দিনে সকল খাদ্য ফরমালিম এর কারনে  অনেক কম বয়সেই চুল পেকে যাবার সম্যাসা দেখা যাচ্ছে।তাই আপনাদের মাজে চুল পাকা কমানোর কিছু টিপস নিয়ে চলে আাসলাম। এই টিপসে যা যা থাকছেঃ-


★কিভাবে প্রাকৃতিক উপায়ে চুল পাকা কমানো যায়।

★নিয়মিত মাস্যাজ করে চুল পাকা কমানোর উপায়।

★কিছু খাদ্য খেয়ে চুল পাকা কমানোর উপায়।


একটি গবেষণায় দেখা গেছে, আমাদের ৩০ বছর বয়সের পর থেকে প্রতি দশকেই ১০ থেকে ২০ শতাংশ চুল পেকে যায়। তবে চুল পাকার প্রধান কারণ হচ্ছে আমদের শরীরের ত্বকের রং নির্ধারণ করে যে পিগমেন্ট সেল, তা থেকে মেলানিন নামের একধরনের রঞ্জক কণিকা উৎপাদিত হয়। সেই মেলানিনের কারণেই চুলের রং কালো হয়। কিন্তু আমাদের শরীরে যখন মেলানিন উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়, তখনই চুল পেকে যায়, অর্থাৎ সাদা হয়ে যায়। এ ছাড়া জিনগত কারণ তথা পারিবারিক কারণেও অনেকের দ্রুত চুল পাকে। পাশাপাশি অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অপরিমিত খাদ্যাভ্যাস, ভিটামিন এ, ই ও ডি–এর অভাব, চুলের যত্ন না নেওয়া, অতিরিক্ত মানসিক চাপ, অতিমাত্রায় ধূমপানসহ বিভিন্ন কারণেই অল্প বয়সে চুল পাকতে পারে।নিয়মিত চুলের পরিচর্যা করলে অবশ্যই চুল পাকা থেকে মুক্তি পাওয়া  যায়।



কিভাবে প্রাকৃতিক উপায়ে চুল পাকা কমানো যায়





★★★আমলকী: আমলকী হতে পারে আপনার অকালে চুল পাকা রোধের অন্যতম উপাদান। আমলকীর গুঁড়া বা তেল—এ দুটির যেকোনোটি ব্যবহার করতে পারেন। আমলকীর তেল চুলের মেলানিন প্রবাহ ঠিক রাখতে সহায়তা করে। ফলে চুল হবে কালো। এ ছাড়া আমলকীর গুঁড়া ও লেবুর রসের মিশ্রণ চুলের গোড়ায় মালিশ করুন ২০ মিনিট, এরপর চুল ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে পাকা চুলের সমস্যায় উপকার পাবেন।



★★★মেহেদি: চুলের সুরক্ষায় মেহেদির ব্যবহার বেশ প্রাচীন। চুল সাদা হয়ে যাওয়া রোধে মেহেদিপাতার বাটার সঙ্গে সরিষা তেল মিশিয়ে চুলে মাখলে তা কার্যকর ভূমিকা রাখবে।



নিয়মিত মাস্যাজ করে চুল পাকা কমানোর উপায়




★★★নারকেল তেল: প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে মাথায় চুলের গোড়ায় নারকেল তেল ম্যাসাজ করুন। সকালে ঘুম থেকে জেগে উঠে স্বাভাবিকভাবে ধুয়ে ফেলুন। অল্প দিনেই চুল পাকার সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। নারকেল তেলের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে মাখলেও উপকার পাওয়া যায়।



★★★পেঁয়াজবাটা: চুল অকালে পেকে যাওয়া ঠেকাতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে পেঁয়াজবাটা। প্রতিদিন নিয়মিত পেঁয়াজবাটা চুলের গোড়ায় মালিশ করুন। ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। চুল পাকার সমস্যা অল্প দিনেই কমে আসবে।



কিছু খাদ্য খেয়ে চুল পাকা কমানোর উপায়



প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও লৌহ ধরনের খাবার প্রতিদিন খাওয়া উচিত। এতে চুলের পুষ্টির চাহিদা পূরণ হয়। শরীরচর্চার ক্ষেত্রে যোগ ব্যায়াম, ধ্যান ও সাধারণ ব্যায়াম চুল পড়া কমাতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে। রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার: যেমন- 'স্ট্রেইট' করা, রং করা ইত্যাদি চুলের ক্ষতি করে




★★★বাদাম: স্বাস্থ্যকর চুল পেতে চাইলে বাদাম হতে পারে কার্যকর সমাধান। পাশাপাশি চুল পাকা রোধে রাখবে ভূমিকা। তাই নিয়মিত বাদাম খাওয়ার পাশাপাশি বাদামের তেল চুলে মাখলেও উপকার পাবেন।



★★★গাজরের জুস: গাজরে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, কে ও বি৬; পটাশিয়াম, বিটা ক্যারোটিন, যা চুলের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে বেশ কার্যকর। প্রতিদিন অর্ধেক গ্লাস পরিমাণ গাজরের জুস খেলে অকালে চুল পাকার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।




★★★কালো তিল: চুল কালো রাখতে কালো তিল বেশ উপকারী। সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন এক টেবিল চামচ পরিমাণ কালো তিল খেলে চুল পাকা তো কমবেই, পাশাপাশি চুল থাকবে কালো।




★★★আদা ও মধু: আদার রস ও মধু একত্রে খেলেও মুক্তি পাবেন সাদা চুল থেকে। এক চামচ আদার রসের সঙ্গে এক চামচ মধু নিয়মিত খেলেও অসময়ে চুল পাকা রোধ হবে।


Tag:- চুল পাকা দূর করার উপায় | চুল কেন পাকে | পাকা চুল কালো করার টিপস



Post a Comment

Previous Post Next Post